• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন

×

উৎকোচ না দেয়ায় ও পূর্বের রাগে দুই ব্যবসায়ীকে মামলায় ফাঁসালেন বন কর্মকর্তা

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৮৫ পড়েছেন
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবনের নিরীহ দুই মাছ ব্যবসায়ীকে হয়রানীমুক্তভাবে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক বন কর্মকর্তা বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে ওই বন কর্মকর্তা উৎকোচ দাবী করায় তা না দেয়ায় ও পূর্বের রাগে ক্ষিপ্ত হয়েই তাদেরকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ী বেলায়েত সরদার ও মোঃ সুমন খাঁ জানান, মোংলার চিলা ইউনিয়নের চিলা বাজারের একটি পরিত্যাক্ত ঘর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ২২বস্তা শুঁটকি চিংড়ি জব্দ করেন বনবিভাগের সদস্যরা। আর এ অভিযানের নেতৃত্ব ছিলেন ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মহসিন আলী। এ সময় শুঁটকিসহ খুলনার মহেশ্বরপুর গ্রামের রবিউল গাজীর ছেলে কামরুল গাজী (২৯) ও কয়রা উপজেলার মমিন শাহর ছেলে ইকবাল হোসেন (২৪)কে আটক করে বনবিভাগ। আটককৃতরা খুলনার জেলে। ওই সকল জেলেদের সাথে আমাদের কোন ব্যবসায়ীক সম্পর্ক নেই, তাদেরকে আমরা চিনিও না। কিন্ত রহস্য হলো ওই দুইজনকে আটকের মামলায় আমাদেরকেও আসামী করা হয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী সুমন খাঁ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি সুন্দরবনে মাছের (কাঁচা/তাজা মাছ) ব্যবসা করি। এই সুবাদে ঢাংমারী ফরেস্ট অফিস থেকে পাসপারমিট নিতে হয়। পাস নিতে গেলে সরকার ধার্য্যকৃত ফি’র বাহিরেও অতিরিক্ত উৎকোচ দাবী করেন ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মহসিন আলী। আমি প্রথম প্রথম তার অনৈতিক দাবী পূরণ করলেও পরবর্তীতে তা দেয়া বন্ধ করে দিই। এরপর থেকে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে  আমাকে নানাভাবে হয়রানীর অপচেষ্টা চালান। সেই অপচেষ্টার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার জব্দ করা অন্যের শুঁটকি মামলায় আমাকে মিথ্যা মিথ্যা ফাঁসিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সময় (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) আমি ব্যবসায়ীক কাজে চট্টগ্রাম ছিলাম, সেখান থেকে শনিবার ফিরে এসে শুনি আমার নামে বনবিভাগে মামলা হয়েছে।
অপর ব্যবসায়ী বেলায়েত সরদার বলেন, আমি শুধু দুবলার শুঁটকি মৌসুমে মাছের ব্যবসা করি, তাও সাগরে। সুন্দরবনে আমার কোন মাছের ব্যবসা নেই। তারপরও কিভাবে আমার নামে ঢাংমারী স্টেশন অফিসার মহসিন আলী মিথ্যা মামলায় দিলো তা বুঝতেছিনা কিছু। তিনি আরো বলেন, গত ৫আগস্ট দেশের পেক্ষাপটের পরিবর্তন হওয়ার পর আমি এলাকায়ও নেই। আর বৃহস্পতিবার যাদের আটক করেছে তাদেরকেও আমি চিনিনা, কিন্ত রহস্যজনকভাবে মামলার আসামী হয়ে গেছি। তিনি আরো বলেন, মুলত গত বছরের ৭এপ্রিল মোংলার চিলা এলাকার জেলে হিলটন নাথ সুন্দরবনে মাছ ধরতে গেলে বন কর্মকর্তাদের মারধরে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। সেই লাশ আজও পাওয়া যায়নি। ওই সময় জেলে হিলটনের পক্ষে লোকজন নিয়ে আমার আন্দোলন করার জেরেই বনবিভাগ পূর্বের সেই রাগে আমাকে এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে ধারণা করছি আমি।
এ বিষয়ে জানতে ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মহসিন আলীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়েই কল কেটে ফোন বন্ধ করে দেন। এরপরও তাকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA